১। ঘাঘটঃ তিস্তার একটি শাখা নদী। ঘাঘট পূর্বে খুব গুরুত্বপূর্ন নদী ছিল এবং শহরটি এর তীরেই অবস্থিত। নীলফামারী জেলা কিশোরগঞ্জ থানার কুজিপাড়া গ্রামে উৎপত্তি। আকাবাকা নদী। উৎপত্তি স্থল থেকে গংগাচড়া থানার পশ্চিম সীমানা দিয়ে রংপুর সদর থানা অতিক্রম করে পীরগাছা থানায় প্রবেশ করেছে। এরপর আলাইকুড়ি নদীকে সাথে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর হয়ে যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে। গাইবন্ধা শহরের ৮ কিলোমিটার পূর্বে মানাস নদী ঘাঘটের সাথে যুক্ত হয়েছে। ঘাঘট ধীরগতির নদী হিসেবে পরিচিত। পূর্বে এ নদী তিস্তার উপনদী ছিল। উনবিংশ শতাব্দীতে নদীর মোহনা ভরাট হওয়ায় তিস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে সংকীর্ন হয়ে এটি এখন শহরের গুরুত্বপূর্ন ড্রেণণের মত হয়ে পড়েছে। ঘাঘটের প্রধান স্রোত দক্ষিণ দিকে মানাসের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং দক্ষিণ দিকে আলাই নদীর শাখা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর অন্য চ্যানেলটি পূর্বদিকে যমুনার সাতে মিলেছে। জুলাই-আগষ্ট মাসে পানির সর্বোচ্চ প্রবাহ থাকে। মার্চ-এপ্রিলে ক্ষীণধারায় বয়ে চলে এ নদীটি।
২। টোপাঃ ঘাঘট নদী থেকে টোপা নদীর উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থল থেকে রংপুর ক্যাডেট কলেজের কিছু দুরে রংপুর-বগুড়া সড়কের বড় ব্রীজের নিচ দিয়ে মাহিগঞ্জের দিকে চলে গেছে। এককালে মাহিগঞ্জের পশ্চিমে এ নদীর তীরে বড় বন্দর গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে মাহিগঞ্জের ধারটি ভরাট হয়ে গেছে। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে এ নদীর গতিপথ পূর্বমূখী হয়ে মানস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS